রবিবার, ৯ মার্চ, ২০১৪

বন্ধু / সুদীপ্ত বিশ্বাস


বন্ধু আমি তোমার জন্য

আঁকব অনেক মিষ্টি ছবি

বন্ধু আমি তোমার জন্য

ফেলব লিখে এক পৃথিবী


বন্ধু আমি তোমার জন্য

সাগর সেঁচে মুক্তো খুঁজি  

তোমার জন্য রাত্রি জাগি

বন্ধু আমায় ডাকছ বুঝি ?


টপকে যাব বিশাল পাহাড়

হোক না শক্ত হোক না খাড়াও

সাঁতরে নদী পেরিয়ে যাব


বন্ধু যদি হাতটা বাড়াও

জীবন পথে চলতে গিয়ে

হটাৎ যদি ঝড়ও আসে

হাত বাড়িয়ে ডাকলে পরেই

আমায় পাবে তোমার পাশে

পৃথিবী ওঠা / সুদীপ্ত বিশ্বাস


আয় পাখি আয় মিহি সুরে গান ধর

শোলোক বলা সে কাজলা দিদিটা কই?

দশ দিগন্ত আলোয় আলোয় ভাসে

চাঁদের আকাশে পৃথিবী উঠেছে ওই!


রুপালি আলোতে দশ দিক ছয়লাপ

কবি শুধু দ্যাখে মায়া চোখ জ্বেলে একা

ভালবাসিবলে ডুকরে কাঁদবে যারা

জনহীন দেশে তাদের তো নেই দ্যাখা।


তবুও কেন যে এত রঙে রেঙে ওঠা

তবুও কেন যে এমন মাতাল রূপ

আকাশে আলোর রোশনাই জ্বলে আছে

চাঁদের দেশটা তবুও তো নিশ্চুপ।


চাঁদ তাই কাঁদে রোজ রাত্তিরে একা

চোখ থেকে তার গড়ায় অশ্রু ফোঁটা

কেউ দেখল না কেউ জানল না ওরে

চাঁদের আকাশে বিশাল পৃথিবী ওঠা।

 

 

 বন্ধু হাত বাড়াও / সুদীপ্ত বিশ্বাস


তোমরা যে খুব একাই ভিজছ

আমায় সঙ্গে নেবে?

তোমাদের ওই খুশির টুকরো

একটু আমায় দেবে?

আমি বসে আছি খুব একা একা

হাই-ওয়েটার ধারে

আমায় কি নিয়ে যাবে না তোমরা

ছোট্ট নদীর পাড়ে?

একটু পরেই সূর্য ডুববে,

হটাৎ নামবে রাত

একা একা আর থাকতে পারিনা

বাড়াও বন্ধু হাত।

তরাই বনে / সুদীপ্ত বিশ্বাস

এই তো সেদিন অফিস ফেলে যেই গিয়েছি তরাই বনে

বন তো দেখি খুব সেজেছে সবুজ সাজে বিয়ের কনে।

মিষ্টি সুরে শিস দিয়ে কে ডাকছে শুধু ডাকছে আমায় 

আমিও তখন ছুটছি দারুণ কার সাধ্যি আমায় থামায়?

বন্ধু বলে বক্সা বন তো এমন করে রোজই ডাকে

দুপুর জুড়ে আলো ছায়ায় মন লান ছবি আঁকে।

ছোট্ট একটা পাগলা নদী ছুটছে শুধু খুশির টানে

সেই খুশিতে যাচ্ছে ভরে আকাশ বাতাস সুরের তানে।

সিকিম যেতে পুরো পথে সঙ্গী হল তিস্তা বুড়ি

পাথর নুড়ি বন দেখিয়ে মনটা আমার করল চুরি।

লিখতে বসে খসখসিয়ে স্মৃতিরা সব আসছে মনে

জ্যোৎস্না ভেজা রাভার গানে বিভোর আমি তরাই বনে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কাঁটাতার

কাঁটাতার  / সুদীপ্ত বিশ্বাস  আমরা পাখিরা উড়ে যাই কতদূরে কত দেশ-গ্রাম ইয়ত্তা নেই তার মানুষেরা শুধু ঝগড়া-বিবাদ করে মানুষের শুধু দেশভাগ কাঁটাতা...