মেঘের মেয়ে ☁ সুদীপ্ত বিশ্বাস
সেদিন যখন বিকেলবেলা ফিরছি আমি বাড়ি
মেঘের মেয়ের সঙ্গে আমার ভাব জমল ভারি!
লুকোচুরির কায়দা-কানুন সবই দিল বলে,
'আসব আবার', কথা দিয়েই হঠাৎ গেল চলে!
সেই থেকে সেই মেঘের মেয়ে বেড়াই আমি খুঁজে
তাকেই খুঁজি দিনের আলোয়, রাত্তিরে চোখ বুজে।
নদীর কাছে যেতেই নদী বলল আমায় ডেকে,
মেঘের মেয়ে দেখতে কেমন? দেখাও ছবি এঁকে।
ঝর্ণা বলে, 'তা তো জানি, কিন্তু ব্যস্ত আজ
যেতে হবে অনেক দূরে, আমার নানান কাজ।'
ইশারাতে পাহাড় বলে, তার তো সবই জানা,
কিন্তু কিছু করার তো নেই, কথাই বলতে মানা।
চাঁদের কাছে যেতেই চাঁদের হাজার অজুহাত,
দিনের বেলা ঘুমান বাবু, ব্যস্ত সারারাত।
কী যে করি, কোথায় যে যাই!
কোথায় গেলে মেঘ মেয়ে পাই?
একা একাই থাকি বসে, মুখটি করে চুন
আমার এত দুঃখ দেখে বাতাস হেসেই খুন।
বাতাস বলে, 'মেঘের মেয়ের পায়ের তলায় সরষে
এই খেয়ালে একটু থামে আবার চলে জোরসে।
যখন তখন ইচ্ছে মতো বদলে ফেলে রূপ
ইচ্ছে হলেই বৃষ্টি হয়ে ঝরে টাপুর-টুপ।
ইচ্ছে হলেই বাষ্প হয়ে আমার ডানায় ভাসে
চাঁদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইচ্ছে মতো হাসে।
মেঘের মেয়ে রাগলে পরে তৈরি হয় ছায়া
মেঘের মেয়ের সব কিছু তাই মিথ্যে এবং মায়া।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন