হাসি
কেউ বা হাসে হো হো করে কেউ বা হাসে হি হি
সাপের হাসি হিস হিসানি ঘোড়ার হাসি চিঁহি ।
কারও হাসি ভীষণ মোটা কারও হাসি মিহি
মোটা হাসি অট্টহাস্য, সরু হাসি হি হি।
কেউ বা হাসে গোঁফের তলে কেউ বা হাসে অল্প
কেউ বা হাসে প্রাণ খুলে খুব, দিল খোলা তার গল্প।
কারও হাসি সরল খুবই কারও হাসি মিষ্টি
মনটা হাসে খুব গরমে যখন নামে বৃষ্টি।
ফকির হাসে ফোকলা দাঁতে ভগবানের ভরসায়
মেঘের ফাঁকে সূর্য হাসে প্যাচ-প্যাচানি বর্ষায় ।
কেউ বা হাসে বুক ফুলিয়ে কেউ বা হাসে মুচকি
খিলখিলিয়ে শুধুই হাসে পাশের বাড়ির পুচকি।
ছেলের মুখে দেখলে হাসি বুকটা ভরে হর্ষে
হাসছে মানুষ চিন-জাপানে হাসছে ভারতবর্ষে।
হাসি মানেই দাঁতের রাশি হাসি মানেই গল্প
হাসি পেলেই প্রাণ খুলে হাস, হাসিস না কেউ অল্প।
সেকাল একাল
তোমরা ছিলে অনেক ভাই আর অনেক কটি বোন
আমাদের তো ভাই বোন নেই আছে ফ্ল্যাটের কোণ।
তোমরা সবাই আম কুড়োতে বৈশাখী ঝড় উঠলে
ছপ ছপা ছপ সাঁতরে যেতে শাপলা শালুক ফুটলে।
তোমরা সবাই খেলতে গিয়ে আছাড় খেতে ধুপধাপ
আমরা খেলি ঘরে বসে একা একাই চুপচাপ।
তোমরা খেলা করতে মাঠে, আমরা খেলি স্ক্রিনে
তোমরা ছিলে শক্ত পোক্ত আমরা তো মিনমিনে।
তাই বলে কি খেলায় কাঁচা ?কত খেলাই পারি
ডাকাডাকি
টিক টিকা টিক টিক
এখন তোরা ভাববি যা যা
সব কিছু তার ঠিক।
হুক্কা হুয়া হুম
শীতের রাতে তোদের কেন
ডাকাডাকির ধুম?
গ্যাঙর গ্যাঙর গ্যাঙ
ঘরের কোণে কখন এল
মস্ত কোলা ব্যাঙ ?
চিড়িক চিড়িক চিক
লেজটি তুলে কাঠ বেড়ালি
ছুট দিয়েছে ঠিক।
কড়াত কড়াত কড়
বাজ পড়েছে ছুটে গিয়ে
মাকে চেপে ধর ।
জানাজানি / সুদীপ্ত বিশ্বাস
জানিস নাকি ? জানিস তোরা -
পক্ষী রাজের বাচ্চা ঘোড়া ,
কেমন ধারা লেজটা যে তার
কেমনই বা ডানার বাহার?
জানিস তোরা ? জানিস নাকি
থাকে কোথায় হোমা পাখি ?
ছারপোকারা তক্তপোশে
কি কারনে রক্ত চোষে ?
কিসের জন্য কুকুরগুলো
ভর দুপুরে মাখছে ধুলো ?
ভাবতে বসে ছোকরাগুলো
মাদুর পেতে একটু শুলো ।
কথা শোনা
পাহাড় বলে, “আয় নারে তুই”
চাঁদটা বলে উড়তে
পিঁপড়ে বলে, “দল বেঁধে চল
দেশ বিদেশে ঘুরতে।”
কাদা বলে, “বানাও পাখি”
কাগজ বলে, “আঁকো”
হাত বাড়িয়ে আমায় ডাকে
চূর্ণি নদীর সাঁকো ।
ফড়িং বলে, “চল না উড়ি ”
নৌকো বলে, “ভাসি”
কু ঝিক ঝিক কু ঝিক ঝিক
ডাকছে ট্রেনের বাঁশি।
লাটাই বলে, “উড়াও ঘুড়ি”
ঘোড়া বলে, “চড়ো”
চোখ রাঙিয়ে বাবা বলেন,
“ মন দিয়ে বই পড়ো।”
কার কথাটা ফেলনা এবং
কার কথাটা দামি
ভেবে ভেবে কুল পাই না
ছোট্ট মানুষ আমি।
দাওয়াই
বদ হজমে রাম ছাগলের হচ্ছে দারুণ কষ্ট
এত দিনের সাধের ভুঁড়ি সেটাও হল নষ্ট।
বেছে
বেছে
হিসাব
করে
চলছে
খাওয়া
দাওয়া
কেউবা
বলে
এখন
রামু
বদল
কর
হাওয়া।
বলল
সবাই
উপোষ
করেই
উঠবে
রামু
সেরে
শেষমেশ
তো
সুগার
প্রেসার
দুটোই
গেল
বেড়ে।
তেত
ওষুধ
চিবিয়ে
খেল, খেল বোতল শিশি
অ্যালোপ্যাথিক
হোমিও
বা
আয়ুর্বেদিক
দিশি
সব
ওষুধেই
ভেজাল
এখন, ভেজাল কলি কাল
ভেজাল
খেয়ে
ভেজাল
মেখে
রামুর
এমন
হাল
।
অবশেষে
শিখল
রামু রাম বাবাজীর যোগ
সকাল বিকাল প্রাণায়ামে
সারল
রামুর
রোগ।
বুড়োর বিয়ে
কল করেছেন বিধাতা পুরুষ কল করেছেন খুড়োর
এবার বুঝি সাত পাকের সে লগ্ন এল বুড়োর।
অনেক কবার হাত পুড়িয়ে, অনেক জেনে বুঝে
অবশেষে বুড়ো বুঝি পাত্রী পেল খুঁজে!
বুড়োর বিয়ের বাড়তি মজা দারুণ খুশির দিন
বন্ধুরা সব হাত পা ছোঁড়ে তাক ধিনা ধিন ধিন।
বেহাগ সুরে হাঁড়ি চাচা হেঁড়ে গলা সাধে
পড়ল বুড়ো খুড়োর কলে রাধে কৃষ্ণ রাধে।